শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে নিখোঁজের ৩ মাস পর হাওর থেকে সুজনা বেগম (২৯) নামে এক গৃহবধূর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গায়ের কাপড় দেখে সুজনার পরিবারের লোকজন লাশ সনাক্ত করে।
এ ঘটনায় পরকিয়া প্রেমিকের অভিযোগ এনে সাহিন মিয়া নামে এক যুবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটক যুবক ‘কইখাই’ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন’র পুত্র।
গৃহবধু সুজনা উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের তোলাফর উল্লাহর মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর সন্ধা ৬ টার দিকে সুজনা তাঁর খালার বাড়ি সৈয়দপুর যাবার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাঁর কোন সন্ধান পাননি।
এ ব্যাপারে সুজনার পিতা তোলাফর উল্লাহ ওই দিন রাতেই নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ‘কইখাই’ গ্রামের ইলিমপুর হাওরে একটি ধানক্ষেতে কঙ্কাল দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কঙ্কালসহ পড়নের কাপড়-চোপড় উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে সুজনার পিতা তোলাফর উল্লাহসহ তার পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে উদ্ধারকৃত সেলোয়ার কামিজ দেখে সুজনার কঙ্কাল বলে সনাক্ত করেন।
সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ-বাহুবল) সার্কেল পারভেজ আলম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুজনার পরকিয়া প্রেমিক অভিযোগে সাহিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
নিহত সুজনার ভাই সাহিনুর রহমান জানান, ‘তাঁর বোন সুজনার সাথে আটক সাহিন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরবর্তীতে সুজনাকে মোস্তফাপুর গ্রামের জয় হোসেনের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর জয় হোসেন সৌদিআরব চলে যান। তারপর আর দেশে ফিরেনি। নিহত সুজনার ৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
এদিকে সুজনার বিয়ের পর সাহিন মিয়াও বিয়ে করে। কিন্ত বিয়ের পরও দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। এ নিয়ে কয়েকবার গ্রামে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্ত তাদেরকে ফিরানো যায়নি। এ অবস্থাতেই সুজনা নিখোঁজ হয়।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ-বাহুবল) সার্কেল পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, ‘সুজনা নিখোঁজের পর তার পরিবারের দায়েকৃত জিডি ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহিনকে আটক করা হয়েছে। এখন তদন্ত অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’